নিজস্ব সংবাদদাতা : হিংসার জন্য বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুললেন তৃণমূল নেতারা। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, বিরোধী দল আমাদের বিরুদ্ধে প্রচুর কুত্সা, আপপ্রচার করেছে। তারা চেয়েছিলেন সুষ্ঠু নির্বাচন যেন না হয়। তার পরেও ১৩-১৪ জেলায় নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে। রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৫০০ শত ৩৯টি। তার মধ্যে ৬০টি বুথে ছোটবড় ঘটনা ঘটেছে। ব্রাত্য বসু বলেন,‘‘ব্যালট বক্সে কারা জল ঢালল? বাদুড়িয়ায় কারা ছাপ্পা ভোট দিল? যারা মারা যাচ্ছেন, তারা অধিকাংশ হল তৃণমূল কংগ্রেস। আসলে বিরোধীদের কৌশল চোরকে বলছে চুরি করো, আর গৃহস্থকে বলছে সজাগ থাকো। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছে।’’কুণাল ঘোষ বলেন, “বিরোধী দল আর কেউ কেউ আতঙ্কের বিপণন করছেন। আজ সকাল থেকে দেখুন তৃণমূলের মারা যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস কি চাইবে তৃণমূল কংগ্রেসকে মারতে? তৃণমূল মারা গেলে বলা হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর বিরোধী মারা গেলে বলবেন সন্ত্রাস। এই গোটা উস্কানির পেছনে রাজ্যপালও আছেন। আজ এক বিজেপির দলবদলু নেতা বলছে, দিল্লিতে গিয়ে বলব টাকা বন্ধ করে দিতে। ভোটের সাথে টাকার কি সম্পর্ক। আসলে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।” এদিন মদন মিত্র বলেন, “এতগুলো খুনের জন্য আসল এফআইআর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। এত খুনের জন্য যদি কেউ উস্কানি দিয়ে থাকে তাহলে তা রাজ্যপাল দিয়েছেন। রাজ্যপাল যা করেছেন তাতে আমি যদি ওঁর জায়গায় থাকতাম তাহলে পদত্যাগ করতাম। উনি করবেন না। ওঁর ব্যক্তিগত বিষয়।”
