কলকাতা : ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। অবশ্য এই কর্মবিরতি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় নয়, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায়। শুক্রবার ওই হাসপাতালে যা যা ঘটেছে, তাতে আবারও সামনে চলে আসছে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার প্রশ্ন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাগর দত্ত মেডিক্যালে ভর্তি হন রঞ্জনা সাউ। আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী ওই মহিলার চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু পরে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
রঞ্জনার পারিবারিক সদস্যরা এই ঘটনায় চরম ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে রঞ্জনার। ক্ষোভ গিয়ে পড়ে চিকিৎসারত ডাক্তার ও নার্সদের উপর। চালানো হয় ভাঙচুরও।
এই ঘটনা ঘিরে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ একেবারে উলটো ছবি সামনে এনেছে। তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসা চলাকালীনই চূড়ান্ত অভব্যতা শুরু হয় রোগীর পারিবারিক সদস্যদের তরফে। যথাযথ চিকিৎসা সত্ত্বেও রঞ্জনা সাউয়ের সঙ্গে আসা কোনও এক ব্যক্তি নাকি ‘আরজি কর করে দেব’ বলে হুমকি দেয় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি) মহিলা চিকিৎসককে। ওই মহিলা চিকিৎসককে চূড়ান্ত শারীরিক নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে রোগীর মৃত্যু হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। লুকিয়ে গিয়েও রক্ষা পাননি জুনিয়র ডাক্তাররা। অভিযোগ এমনটাই। ডাক্তার-নার্স সহ সাগর দত্ত মেডিক্যালের অন্তত ৭ জন এমন হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হন। ঘটনায় পুলিশ দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ।
এরই জেরে পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের ক্ষোভ প্রশমিত হওয়ার আপাতত কোনও কারণ বা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।