সাংসদ খেল মহোৎসবকে কেন্দ্র করে বিতর্ক :-
বুধবারই শেষ হয়ে গিয়েছিল তিনদিন ধরে চলা সাংসদ খেল মহোৎসব। আজ সাংসদ নিশীথ প্রামানিকের উপস্থিতিতে হলো বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের শংসাপত্র বিতরণ। জানা গিয়েছে, এই খেল মহোৎসবে কোচবিহার জেলার সাড়ে চার হাজারেরও বেশি খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছিল। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিল উসু, যোগা, কিক বক্সিং, ক্যারাটে এবং ফুটবল। স্থানীয় নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গোটা জেলার বিভিন্ন মহকুমা থেকে আসা খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেছিল এইসব বিভিন্ন ইভেন্টে।
জানা গিয়েছে গত ৮/৯ মাস আগে থেকে খেলা গুলো শুরু হয়েছিল। ৪,৫,৬ তারিখে কয়েকটি খেলার ফাইনাল হয়েছে। বাকি দু-একটি খেলার ফাইনাল আগেই হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক নিজের উদ্যোগে কোচবিহারে সাংসদ খেল মহোৎসব অনুষ্ঠানটি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। হঠাৎ করেই মিটিংয়ে দিল্লি যেতে হওয়ায় খেলার কোন ইভেন্টের সময়েই মন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারেননি। এদিন খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে নিশীথ প্রামানিক বলেন, আমি ভাবতেই পারিনি কোচবিহারে এত প্রতিভা রয়েছে।
যদিও এই অনুষ্ঠানের ব্যানারে বেশ কয়েকটি সরকারি লোগো ব্যবহার করা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে সাই এর লোগো সাংসদ খেল মহোৎসবের ব্যানারে থাকলেও সাই এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত ছিল না। এদিন সাংসদ নিশীথ প্রমাণিকের উপস্থিতিতে এক ঝাঁক উঠতি খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করা হলো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তরফ থেকে একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও বিতর্ক কিন্তু পিছু ছাড়েনি। ব্লক লেভেলে না খেলেও কয়েকজন সরাসরি ফাইনালে খেলেছে এরকম কথাও শোনা গিয়েছে। যদিও এই কথাটি মানতে রাজী নন সাংসদ খেল মহোৎসবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সত্যেন বর্মন। তিনি বলেন, এসব রটানো হচ্ছে। এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয় গুহ বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে যেমন ঘোষণা করেছিলেন নারায়ণী সেনা গঠন করবেন, সেই ধাঁচের একটা ধাপ্পাবাজির খেল উৎসব হল। সবই প্রতিশ্রুতির বন্যা, কাজ কিছুই হয়নি। আসলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেকে তুলে ধরার একটা আপ্রাণ চেষ্টা, এর সাথে খেলার উন্নয়নের কোন সম্পর্ক নেই।