শ্যামপুকুর থানা এলাকায় মিলল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ:
সাতসকালে শ্যামপুকুরের একটি স্কুলের অদূরে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাথা ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। থেঁতলে গিয়েছে মুখ, ক্ষতবিক্ষত দেহ। ওই ব্যক্তির মাথার পিছনে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। দেহটি শ্যামবাজারে এভি স্কুলের মেইন গেটের অদূরেই পড়ে ছিল। খুন নাকি পড়ে গিয়ে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে পুলিস। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে শ্য়ামপুকুর থানার পুলিশ। তবে এই মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট রহস্য ঘনিয়েছে। শ্যামবাজারের এভি স্কুলের সামেই একটি পুলিশ কিয়স্ক রয়েছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে এলাকারই এক পাম্প কর্মী প্রথমে দেহটি উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি কিয়স্কে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি ডেকে দেখান। দেহ উদ্ধারের খবর তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। নিয়ম অনুযায়ী, দ্রুত দেহটি উদ্ধার করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত কয়েকদিনে পর পর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও পিটিয়ে বা কুপিয়ে খুন করার অভিযোগও মিলেছে। চিৎপুর, চিংড়িহাটা, লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় খুনের এবার শ্যামপুকুরের মতো এলাকা থেকে উদ্ধার হল রক্তাক্ত দেহ।