কলকাতা : আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সমাজমাধ্যমে ফেক নিউজ ও নির্যাতিতাকে নিয়ে অবৈধ পরিবেশনার অভিযোগ। ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় কলকাতা পুলিশ। এরই মধ্যে বহু অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তুঙ্গে তৎপরতা। কলকাতা পুলিশের এই সক্রিয়তাকে ভালো চোখে দেখছেন না বিরোধীরা।
গোটা বিষয়টিতে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। চিকিৎসক-তরুণীকে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদকে স্বাগত জানালেও বিরোধী শিবিরের অপচেষ্টাকে মানতে নারাজ তারা।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এদিন তাঁর এক্স (X) হান্ডলে আজ এই প্রসঙ্গে দুটি পোস্ট করেছেন। সকাল ১০টা ৩৭-এ বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিবাদী পোস্ট হলেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে, এই ন্যাকামির মিথ্যা বন্ধ করুন। প্রতিবাদ করবেন ভাবলে সঠিক ভাষায় যুক্তিতে একশোবার করুন। হাজারবার করুন। কিন্তু ভুল তথ্য, বিকৃত অনুমান, ভুয়ো অডিও, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্ররোচনা ছড়ানোর পোস্ট, নিহতের নাম-ছবি, এসব দিলে পুলিশ সতর্ক করবেই।’
সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে লালবাজার নোটিশ ধরিয়েছে বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার, সুবর্ণ গোস্বামী ও রাজা ধরের মতো অগ্রগণ্যদেরও। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ, নাম না করে এই প্রসঙ্গে নিজের এক্স (X) হ্যান্ডলে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘ভুল পোস্ট করে বিভ্রান্তি ছড়ালে পুলিশ চিকিৎসককে ডাকতে পারবে না! বেসরকারি হাসপাতালে বিপুল টাকায় অপারেশনের পর ভেতরে থেকে যায় গজ। সরকারি হাসপাতালে এনে আবার অপারেশনে প্রাণ বাঁচে। সেই চিকিৎসক গ্রেফতার হননি কেন? মিডিয়ার প্রমোট করা তৃণমূল বিরোধী বলে? নাগরিক সমাজ কি বলেন?’
কুণাল ঘোষের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় অবশ্য সকলেই তৃণমূল নেতার যুক্তিকে মেনে নেননি। এক্ষেত্রে এক ব্যক্তির প্রতিযুক্তি, ‘ভুল অস্ত্রোপচারের প্রসঙ্গ এখন টানা হচ্ছে কেন? সরকারের তো উচিত ছিল যে সময়কার ঘটনা, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া!’ তবে সমাজমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে স্বনামধন্য চিকিৎসকরা যে তাঁদের নামের প্রতি সুবিচার করেননি, তা অনেকেই মানছেন।