নয়াদিল্লি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কিভ (Kyiv) সফরে মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ হল ২ দেশ – ভারত-ইউক্রেন। কিভের ঐতিহ্যবাহী মারিইনস্কি প্রাসাদে (Mariinsky Palace) দুই রাষ্ট্রনায়কের বৈঠক হয়। স্বাক্ষরিত হয় মউ (MOU – Memorandum of Understanding)।
রাশিয়ার আগ্রাসনের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠক প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI)-কে জানিয়েছেন, ‘ভারত তার ভূমিকা পালন করবে। আমি মনে করি, ভারত বুঝতে শুরু করেছে যে, এটা নিছক কোনও সংঘাত নয়। এটা পুরো একটা দেশ তথা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একজনেরই যুদ্ধ, যাঁর নাম পুতিন।’ এএনআইকে দেওয়া বক্তব্যে জেলেনস্কি যোগ করেছেন, ‘ভারত বৃহৎ দেশ। ভারতের প্রভাব অনেক দূর বিস্তৃত। পুতিনকে থামাতে পারে ভারত।’
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) তাঁর এক্স (X) হ্যান্ডলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘স্বাধীনোত্তর ইউক্রেনে এই প্রথম এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এলেন ঠিক আমাদের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে। চিকিৎসা ক্ষেত্র, কৃষি সহায়তা, মানবিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে ২ দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে চুক্তি।’
এক্সে জেলেনস্কি তাৎপর্যপূর্ণভাবে আরও লিখেছেন, ‘আমরা উভয়েই ২ দেশের পারস্পরিক কৌশলগত সহায়তা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সামরিক প্রযুক্তি বিনিময়কে উত্তরোত্তর বাড়াতে আগ্রহী।’
সামাজিক মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বার্তা, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে সমর্থন করে ভারত। এটা এই জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদকে সমান শ্রদ্ধা করি।’
গতকাল পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেনে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিভের ওয়েসিস অফ পিস পার্কে মহাত্মা গান্ধির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ‘বাপুজির আদর্শ বিশ্বজনীন – দুনিয়ার গণনাতীত মানুষের ভরসাস্থল। আমরা যেন তাঁর প্রদর্শিত অহিংসা ও শান্তির পথে চলতে পারি।’





