বৃহস্পতির সকালে সিবিআই হানা তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্তর বাড়িতে:
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। আজ সকালবেলা নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই-এর দু’টি দল বের হয়। দুটি গাড়ি করে তাঁরা পৌঁছয় পাটুলিতে বাপ্পাদিত্যর বাসভবনে। কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তথা ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর পাটুলির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। প্রায় ১৮ মিনিট পর বাড়ির ভিতরে ঢোকেন তদন্তকারীরা। নিজেই দরজা খুলে আধিকারিকদের ভিতরে ঢোকান বাপ্পাদিত্য। তাঁদের সঙ্গে আসেন ব্যাঙ্কের কর্মীরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে আটক কিছু অভিযুক্তকে জেরা করতে গিয়ে বাপ্পাদিত্যর নাম উঠে এসেছে বলে খবর। আজ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে। পাড়ায় সিবিআই হানার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাড়ার লোকজন জমে যায় তাঁর বাডির চারপাশে। তৃণমূল কাউন্সিলর দাবি করেছেন, সিবিআই-কে সব রকমভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। যা যা নথি চাওয়া হবে তা গোয়েন্দাদের দেখানো হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বাড়িতেই রয়েছেন বাপ্পাদিত্য। তাঁর সামনেই প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার বিভিন্ন নথি-পত্র ঘেঁটে দেখছেন গোয়েন্দারা। পার্থ-র হাত ধরেই রাজনীতিতে আসা বাপ্পাদিত্যর। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মানসপুত্র বলেই চিহ্নিত করা হয় তাঁকে। কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরনিগমের মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডি–সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের শুনানিও চলছে। সেখানে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থবাবু। সম্প্রতি নয়াদিল্লি থেকে পার্থর হয়ে সওয়াল করতে আসেন ইডিরই এক প্রাক্তন আইনজীবী। তাঁর দাবি ছিল, পার্থর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তাই পার্থকে জামিন দেওয়া হোক। এটা যদি চলতে থাকে তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগামীদিনে আদালতে চাপে পড়ে যাবেন। তাই তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে এই হানা বলে মনে করা হচ্ছে।