কলকাতা : বৃহস্পতিবার থেকে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখার পর, শুক্রবার প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভা ভবন, মুজফফর আহমেদ ভবন ও দীনেশ মজুমদার ভবন ঘুরে নীররতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে| প্রতি জায়গাতেই মরদেহতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় উপচে পড়ে| সিপিআইএমের কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরের বিশিষ্ট নেতারা তো ছিলেনই, অন্যান্য দলের নেতানেত্রীও সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডকে| পিস ওয়ার্ল্ডে উপস্থিত সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, মানুষের মনের জগতে বুদ্ধদার জায়গা অভিভাবক-সম| বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, দার্শনিক চেতনা এই সব মিলিয়ে বাংলার মানুষের কাছে অভিভাবক-সম তিনি| তাঁর প্রয়াণে অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই| তাঁর স্মৃতি এবং তাঁর স্বপ্নকে সঙ্গে নিয়ে বাংলার ভবিষ্যতের জন্য আমাদের লড়াইটা চলবে এবং চালাতে হবে| পাশাপাশি সুজন চক্রবর্তী এও দাবি করেন, দিনের শেষে সব রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীই বুঝতে পারবেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অথবা তাঁর সহকর্মী… ৩৪ বছরের মন্ত্রীরা নানারকম অপচেষ্টা সত্ত্বেও কখনও কালিমালিপ্ত হননি| মাথা উঁচ করেই চলতে পেরেছেন তাঁরা| অন্যদিকে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষযাত্রায় প্রায় সব দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম| তখন মুজাফফর আহমেদ ভবনে ছিলেন তিনি| সেলিম বলেন, ‘কী ভাবে বিরোধীদের সম্মান দিতে হয়, কী ভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে তলে ধরতে হয় নিষ্ঠার সঙ্গে, সেটা আজ বুদ্ধদার অন্তিমযাত্রায় ধরা পড়ছে| তার ন্যূনতম প্রভাব যদি বাংলার রাজনীতিতে পড়ে, সেটা বাংলার জন্য মঙ্গল|’
এদিন বিধানসভায় প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মরদেহতে শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত মন্ত্রী-বিধায়করা| ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিরোধী দলনেতা| তিনি বলেন, সৎ-পরিচ্ছন্ন ইমেজের রাজনীতিবিদ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য | এরপরই সাংবাদিকদের সামনে স্বনির্বাচিত স্মৃতিচারণায় ডুব দেন শুভেন্দু অধিকারী|