বিমান বাতিল করে দিয়েছে ভিস্তারা, এনিয়ে তোলপাড় ঘাসফল শিবির:
এবার বিমানও বাতিল। এনিয়ে তোলপাড় ঘাসফল শিবির। বেশ কিছু উপরতলার নেতাদের বিমানেও দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। সে ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে সমস্যা। রবিবার পৌনে সাতটার বিমান বাতিল করে দিয়েছে ভিস্তারা। ট্রেনের পর বিমান বাতিলের খবরে সকলেই বেশ খানিকটা বিপাকে পড়েছেন। সূত্রের খবর, এই বিমানে ১২০ জন যাত্রীর যাওয়ার কথা ছিল। বিমান সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে যান্ত্রিক ক্রুটির কারণেই এই বিমান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। যদিও এর পিছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে। তার আগেই একের পর এক বাধা। প্রথমে ৩ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। তারপর যে ট্রেন ভাড়া করে ৩-৪ হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল সেই ট্রেন দিতে পারবে না বলে শেষ মূহুর্তে জানিয়েছে রেল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ট্রেন বাতিল করেও শান্তি হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টি তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি অভিযানকে এতটাই ভয় পাচ্ছে যে এবার প্লেন বাতিল করাতে শুরু করেছে। একটা প্লেন বাতিল হয়েছে। যাতে প্রায় শতাধিক তৃণমূল নেতাদের যাওয়ার কথা ছিল। আচমকা এই বিমান বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু, নির্দিষ্ট দিনেই আমাদের কর্মসূচি হবে।”উড়ান বাতিল হওয়ার পর তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, প্রথমে ওরা কলকাতা থেকে দিল্লির ট্রেন বাতিল করল। রাজ্যের কয়েক হাজার কোটি টাকা বকেয়া দেওয়ার দাবিতে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে প্রতিবাদ সভা হওয়ার কথা ছিল। এখন এবার ওরা ফ্লাইটও বাতিল করা হল। যা পারো করো। আমরাও লড়াই করব। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, অবাক হয়ে যাচ্ছি। বারাসত থেকে ওই ফ্লাইটে যাচ্ছিলেন বারাসতের প্রায় একশো নেতা। জীবনে কখনই দেখিনি টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য গোটা উড়ান বাতিল হয়ে য়ায়। এটা আমার বোধগম্যের বাইরে। খোঁচা দিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের মালিকেরা তাজ কোম্পানির চাটার্ড ফ্লাইটে যাতায়াত করেন। তাঁরা হচ্ছে ভারতবর্ষের তৃতীয় ধনী রাজনৈতিক দল। এই মুহূর্তে অন্তত আটশো কোটি টাকা তাঁদের পার্টি ফান্ডে জমা হয়ে আছে। তাই চাটার্ড প্লেনে কেন কর্মীদেন নিয়ে যাবে না? আমার তো মনে হয় ২০টা চাটার্ড প্লেন ভাড়া করে যাতায়াত আরও সুবিধা হতো। বড় বড় প্রাইভেট জেট ভাড়া করলে একসঙ্গে আড়াইশো তিনশোজন চলে যেত।”