বস্তি’ নাম থাকবে না কলকাতায়, মুখ্যমন্ত্রী নতুন নাম দিলেন, ‘উত্তরণ’:
বস্তি’ নাম থাকবে না কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী নতুন নাম দিলেন, ‘উত্তরণ’। বললেন, ‘আমার খুব ভালো লাগে বস্তির মানুষদের। তাদের মধ্যে যে প্রাণ আছে, অনেকের নেই, এটা মাথায় রাখতে হবে। তাদের মধ্যে যে আতিথেয়তা, যে আড্ডা, যে ভালোবাসা, একজন অপরজনের সাথী হওয়া, এই ভালোবাসা কোথায় পাবে’? মঙ্গলবার, তৃতীয়ার বিকেলে পুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই নির্দেশ দিলেন। পায়ের চোটে ঘরবন্দি। চিকিৎসার পরামর্শে বিশ্রাম নিচ্ছেন বাড়িতে। মহালয়ার আগে থেকে ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চেতলা অগ্রণীর পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার সময় মুখ্যমন্ত্রী বস্তি নামে আপত্তি জানান। তারপরেই বস্তি শব্দটি তুলে দিয়ে নতুন নাম ঠিক করে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বস্তি বলে কিছু হয় না। তাই এই শব্দটি তুলে দেওয়া উচিত।’ একইসঙ্গে বস্তির মানুষদের তিনি ভালোবাসেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘বস্তির মানুষদের আমার খুব ভালো লাগে। তাদের মধ্যে আতিথেয়তা, আড্ডা, ভালোবাসা, একজন অপরজনের সাথী হওয়া এই জিনিসগুলি আমার খুব ভালো লাগে। তাই তাদের কথা মাথায় রাখতে হবে।’উত্তরণ ১, উত্তরণ ২ বা উত্তরণ ৩ এভাবে এলাকার নামকরণ করা হতে পারে। মেয়র জানান, পুরসভায় এ বিষয়টি ঠিক করা হবে। কালীঘাটের বাড়ি থেকেই শহরের বারোটি পুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তালিকায় ছিল আলিপুরের ‘আমরা সকল পল্লি সমিতি’-ও। ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই বসতির বাসিন্দারা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের কট্টর সমর্থক তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন মেয়র। পুজোটির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বহুদিনের সম্পর্ক। পুরনো স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রায় সবাইকে চেনেন তিনি। ফিরহাদ বক্তব্য রাখার সময়ই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কাছে জানতে চান, ওই এলাকার সকলে ঠিকা-স্বত্ব পেয়েছেন কি না। মেয়র জানান, ‘‘সকলেই পেয়ে গিয়েছেন।’’ ‘ঠিকা-সত্ত্ব পেলে তো এটা নিজেদের জায়গা হয়ে গেল। বস্তি বলবে না। এটা হচ্ছে আমার মাটির কুটির, আমার ভালোবাসার জায়গা। মায়ের আঁচল। বস্তি বলে কিছু হয় না। বস্তি কথাটা তুলে দাও’।