কলকাতা : ‘ফাঁসি চাই।’ শিয়ালদা কোর্টের সামনে একটাই ধ্বনি। লক্ষ্য আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। পুলিশ হেফাজতের সময়সীমা শেষ হওয়ায় আজ সঞ্জয়কে শিয়ালদা কোর্টের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে পেশ করা হয়েছে। এসিজেএমের কাছে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। আবেদন মঞ্জুর হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আজ দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সঞ্জয়কে কঠোর পাহারায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে শিয়ালদা কোর্টে। কিন্তু শিয়ালদা কোর্টে ঢোকার মুখে পরিস্থিতি কিছুটা বেসামাল হয়।
এমনিতেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় মানুষ ফুঁসছে। নারকীয় হত্যালীলায় দ্বিতীয় কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি। অথচ এটা বিভিন্ন সূত্রে বারবার অনুমান করা হয়েছে যে, চিকিৎসক-তরুণীর নৃশংস প্রাণনাশ কারও একার হাতে ঘটেনি। তাহলে অন্য অভিযুক্তরা কোথায়? কেন এখনও তাদের হদিশ পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা? কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তাদের? সঞ্জয়কে জেরা করে সেই সূত্রে অন্য অভিযুক্তদের নাম জানা কি এতই জটিল? এ’সব প্রশ্ন উঠছে নাগরিকদের বিভিন্ন আলোচনায় এবং সামাজিক মাধ্যমে। ফলে অসন্তোষ দিন দিন তীব্র হচ্ছে। তারই মধ্যে ধৃত সঞ্জয়কে সামান্য দূরত্বে পেয়ে মানুষ যে ক্ষোভে ফেটে পড়বেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!
ক্ষুব্ধ মানুষের রোষানলের কথা মাথায় রেখেই সিজিও কমপ্লেক্স–শিয়ালদা আদালত পথটুকু সঞ্জয়কে নিশ্ছিদ্র পাহারায় পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বড় কোনও অঘটন ঘটল না ঠিকই। তবে জড়ো হওয়া লোকজনের সম্মিলিত ‘ফাঁসি চাই’ ধ্বনি বুঝিয়ে দিল, নারকীয় হত্যালীলার একটাই সাজা দেখতে চাইছেন রাজ্যবাসী – সর্বোচ্চ শাস্তি, মৃত্যুদণ্ড।





