দুর্গাপুজোর আগেই সরকারি কর্মীদের বেতন দিয়ে ফেলতে চাইছে নবান্ন:
পুজোর আগেই বেতন দিয়ে ফেলতে চাইছে নবান্ন। এমনটা হলে বিভিন্ন সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি, সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা বেতন পাবেন। নবান্নের তরফে এই নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য সরাসরি নবান্ন থেকে বিভিন্ন দফতরের পৌঁছেছে নির্দেশিকা। প্রত্যেক মাসের শেষ তারিখের আগেই সরকারি কর্মীরা সেই মাসের বেতন পেয়ে থাকেন। এবার দুর্গাপুজো শুরুর আগেই সেই বেতন দিতে চায় রাজ্য সরকার। অর্থাৎ দুর্গাপুজোর আগেই সেই বেতন দিয়ে দিতে চাইছে নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর, অক্টোবর মাস শুরু হতেই বিভিন্ন দফতরকে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে কর্মীদের বেতনের যাবতীয় কাজ ৪ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে। বিভিন্ন সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সেপ্টেম্বর মাসে তো বেতন পেয়েছে সবাই। অক্টোবর মাসের বেতনও এর মধ্যে দিয়ে দিতে চাইছে নবান্ন। সেক্ষেত্রে একসঙ্গে অনেকগুলি টাকা হাতে চলে আসবে। আর তার জেরে তুঙ্গে উঠবে বিকিকিনি। প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশে অন্য শিক্ষকদের বেতন স্কুল থেকেই হয়। তাই প্রধান শিক্ষক মারফত স্কুলগুলিকে দ্রুত এই কাজ করে ফলতে হবে। ২১ অক্টোবর মহাসপ্তমী। যা মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। সেই কারণে সরকার চাইছে কর্মীদের বেতন যেন তাঁর আগেই দেওয়া হয়। বেতনের যাবতীয় কাজ ৪ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও পুজোর আগে আর একটা বেতন পেয়ে যাবেন। প্রশাসনের অন্দরের খবর, অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে বেতন পেয়ে যাবেন সরকারি কর্মীরা। ফলে সরকারি কর্মীরা স্বাভাবিকভাবেই খুশি। সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ বুধবার সরকারি কর্মীদের বেতন ঢুকেছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসে শেষ কাজের দিনের আগের দিন সরকারি কর্মীদের বেতন হয়। আগামী ২১ অক্টোবর মহাসপ্তমী পড়েছে। আর তার আগেই দুর্গাপুজোর ছুটি পড়ে যাবে। এটা অবশ্য মাসের তৃতীয় সপ্তাহ। তাই রাজ্য সরকার চাইছে কর্মীদের বেতন যেন তাঁর আগেই দিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আগের মাসের বেতন খানিকটা রইল। আবার দুর্গাপুজোর আগে আর একটা পুরো বেতন মিলল। তাহলে উৎসব কাটিয়ে, বাইরে বেড়াতে গিয়েও হাতে টাকা থেকে যাবে। তারপর নভেম্বর মাসে মিলবে আর একটা বেতন। সরকারি কর্মীদের মন পেতে কর্মীদের দ্রুত বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।