বাংলাদেশে সংরক্ষণ-প্রতিবাদী তীব্র ক্ষোভের মধ্যে সে-দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (Anisul Huq) বার্তা দিলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি সরকার।’
এদিকে এই বার্তার পরপরই বিক্ষোভের অন্যতম মুখ, নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam) সংবাদ সংস্থা রয়টার্স (Reuters)-কে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘গুলিবর্ষণ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। আমরা মৃতদেহ মাড়িয়ে আলোচনায় যেতে পারি না।’ অর্থাৎ, আন্দোলনকারীদের বক্তব্য পরিষ্কার, আগে সরকার পুলিশ দমনপীড়ন থেকে নিরস্ত করুক, তারপর আলোচনা। যদিও বিক্ষোভ দমাতে এরই মধ্যে পুলিশের পাশাপাশি সেনা নামিয়েছে হাসিনা-সরকার।
বর্তমানে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সে-দেশের সরকারি কর্মসংস্থানে কোটা তুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫-এরও বেশি প্রতিবাদী। মৃত্যু হয়েছে ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদির।
সে-দেশের সব খবরের চ্যানেলে সম্প্রচার স্থগিত রাখা হয়েছে। অধিকাংশ খবর-কাগজের বৈদ্যুতিন সংস্করণ ও সংবাদ মাধ্যমের ওয়েবসাইটগুলিতে কোনও আপডেট পাওয়া যাচ্ছে না। বিশদভাবে বিপর্যস্ত মোবাইল পরিষেবা। ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা কার্যত নিষ্ক্রিয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই দেশবাসীর উদ্দেশে আবেদন করেছেন, ‘আইন হাতে তুলে নিয়ে রাস্তায় দুষ্কৃতীদের সুযোগ করে দেবেন না।’ ‘সর্বোচ্চ আদালতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা ন্যায় বিচার পাবেন,’ নিজেরন এমন ‘বিশ্বাসে’র কথাও বলেছেন তিনি। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পারিবারিক প্রজন্মের জন্য ৩০ শতাংশ কোটার নীতির উপর এরই মধ্যে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।










