৩ আশ্বিন ১৪৩১ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৩ আশ্বিন ১৪৩১ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গরিব পাটচাষির চোখে জল, মাথায় হাত; পাটের পণ্যে মিলছে না দাম

প্রতিবেদক :অভিষেক সিংহ

কলকাতা : সুতির কাশিমনগরে গরিব পাটচাষিদের চোখে জল, মাথায় হাত। বছর-ভর রোদে পুড়ে, জলে ভিজে কষ্ট করে সামান্য লাভের আশায় জমিতে পাট চাষ করেন তাঁরা। কিন্তু শেষমেশ পাট বেচতে গিয়ে জমা হচ্ছে হতাশা আর বিপন্নতা।

একদিকে চাষের খরচ৷ অন্যদিকে সারের দাম। সবই ঊর্ধ্বমুখী। সঙ্গে বৃষ্টির দাপট থেকে পাট বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ। এমনিতেই বিলুপ্তির পথে পাটশিল্প। ফলে পাটের পণ্য বেচতে গিয়ে নাজেহাল দশা। মিলছে না দাম, উঠছে না খরচ।

গত বছর দাম ছিল কেজি পিছু ৫ হাজার টাকা। এ’বছর তা অনেকটা কম। প্রতি কেজি পাটের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।

পাটকাঠির কদর আর নেই। পাটের সুতলির ব্যবহারও কমে এসেছে। পাটের তৈরি চট-বস্তা বিলুপ্তির পথে।

গরিব পাটচাষিরা বড় ক্ষোভে বলছেন, ‘রোদে পুড়ে, জলে ভিজে চাষ করতে হয়। চাষ করতে সার তো লাগেই। পোকামাকড়ের হাত থেকে পাটগাছকে বাঁচিয়ে রাখতে দরকার পড়ে জীটনাশকেরও। কেন্দ্রীয় সরকার সার-কীটনাশক সহ কৃষি-সরঞ্জামের দাম গগনচুম্বী চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনওরকমে চাষ করেই চলছে জীবনযাপন। কিন্তু এত কষ্টের পর, দিনের শেষে উপার্জন যা হচ্ছে, তা খরচের শিকি ভাগও নয়। কী করে চলবে সংসার, সেই দুশ্চিন্তা এখন কুরে কুরে খাচ্ছে পাটচাষিদের।

Scroll to Top