৭ বৈশাখ ১৪৩২ মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২ মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫

কোনটা অগ্রাধিকার– ‘বুলেট’ না সুরক্ষা? প্রশ্ন তুললেন মহুয়া

High News Digital Desk:

‘জুমলা সরকার ১০ বছর দেশ চালানোর পর ভারতীয় রেল ইমার্জেন্সি রুমে চলে গিয়েছে।’ নিজের এক্স (X) হ্যান্ডলে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে (Ashwini Vaishnaw) ধিক্কার জানিয়ে প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর।

গতকাল দুপুর আড়াইটের একটু পরে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার কাছে লাইনচ্যুত হয় চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় একাধিক প্রাণহানি ও বহু যাত্রীর আহত হওয়ার খবর মিলেছে। সেই প্রসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

এক্স হ্যান্ডলে মহুয়া আরও লেখেন, ‘অবিলম্বে ভারতীয় রেলের সমস্ত রুটে সংঘর্ষ-নিরোধক কবচ ইনস্টল করা উচিত।’ এই নিয়ে তিনি একটি তুলনামূলক আর্থিক হিসেবও উল্লেখ করেছেন। তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, ‘ভারতীয় রেলের সমস্ত রুটে সংঘর্ষ নিরোধক কবচ ইনস্টল করতে খরচ পড়বে ৬৩ হাজার কোটি টাকা, যেখানে মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেনের খরচ ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা।’

সামাজিক মাধ্যমে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর এই পোস্ট, বিশেষত বুলেট ট্রেন ও দুর্ঘটনা-রোধী প্রযুক্তির ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য-তুলনা, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এতে এই প্রশ্নই সামনে আসছে যে, কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক কি গতির চমক দিতে বেশি আগ্রহী, তুলনায় সাধারণ-বিত্তের ট্রেনযাত্রীদের সুরক্ষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে নারাজ?

বৃহস্পতিবারই ছিল রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে নিজের এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) শুভেচ্ছা বার্তা শেয়ার করে তাঁর উদ্দেশপ রেলমন্ত্রী লেখেন, ‘আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার নেতৃত্বে ভারতের অগ্রগতি ও শ্রীবৃদ্ধির জন্য আমরা দায়বদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

এই পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পরেই উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার কাছে ট্রেন-দুর্ঘটনা। যদিও তা নিয়ে সারাদিন এক্স হ্যান্ডলে কিছুই পোস্ট করতে দেখা যায়নি রেলমন্ত্রীকে। ফলত সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিশানা করে ধেয়ে আসে একের পর এক বিদ্রূপ। তৃণমূলের সমর্থকরা অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ‘ডি-রেল মন্ত্রী’ (‘De-Rail Minister’) সম্বোধন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান এক্স হান্ডলে। সেই বক্রোক্তির পাশাপাশি, রেলমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তাঁরা লেখেন, ‘আপনার অকর্মণ্যতার জেরে ঘটে চলা একের পর এক ট্রেন-দুর্ঘটনার অভিঘাত থেকে মুক্ত হোক দেশবাসী।’ নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের প্রকট পক্ষাবলম্বী নন, এমন ব্যক্তিরাও সামাজিক মাধ্যম ও তার বাইরে যাত্রী-সুরক্ষার প্রশ্নে ভারতীয় রেল মন্ত্রকের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

Scroll to Top