প্রায় সাড়ে পাঁচশ বছর প্রাচীন বড় দেবীর পুজোর সূচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই। গত এক মাস দেবীর শক্তিদন্ডের বিশেষ পুজো হচ্ছিল মদনমোহন বাড়িতে। রাধা অষ্টমীর ভোরে দেবীর শক্তি দন্ড অর্থাৎ ময়না কাঠ কোচবিহার রাজ পরিবারের প্রতীক হনুমানদণ্ড ও বাদ্যযন্ত্র সহযোগে পালকিতে করে মদনমোহন বাড়ি থেকে পৌঁছে গেল দেবী বাড়িতে। শনিবার সূর্য ওঠার আগেই এই ময়না কাঠ দেবী বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য প্রাচীন পুঁথি নিয়ে পুজোয় বসেন। রাজপ্রথা মেনে রাধা অষ্টমীর দিন দুধ ঘি মধু নারকেলের জল সহযোগে যথা উপাচারে ময়না কাঠ অর্থাৎ শক্তিদন্ডের মহাস্নান হয়। এরপর সেই শক্তি দন্ড প্রতিস্থাপিত হয় ট্রলির ওপরে। আরও কিছুক্ষণ চলে পূজো। ভক্তবৃন্দরা অঞ্জলি দেয়। প্রথা মেনে এখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ পরিবারের বর্তমান দুয়ার বক্সী অমিয় দেব বক্সী ও জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। এদিন পায়েসান্ন ও জোড়া পায়রা বলি সহযোগ পুজো সম্পন্ন হয়। এরপর তিনদিন শক্তি দন্ডর হাওয়া খাওয়ার পর দেবত্র ট্রাষ্টবোর্ডের মৃৎশিল্পী সেই ময়না কাঠের ওপরেই খড় ও মাটির প্রলেপ দিয়ে দেবী মূর্তির তৈরি করা শুরু করবেন।
