রাষ্ট্রপতির সূচনা-ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপক প্রস্তাবে জবাবি বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বিরোধী সাংসদদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দৃশ্যতই থেমে যেতে হল তাঁকে। মণিপুরের সুবিচারের দাবিতে তখন ওয়েলে নেমে সোচ্চার হয়েছেন কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। ধ্বনি উঠছে, ‘স্বৈরাচার আর বরদাস্ত করা হবে না।’ মণিপুরের উপর আলোচনা চেয়ে রীতিমতো এককাট্টা বিরোধী শিবির। এর আগে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধির সোমবারের ভাষণের বিশেষ-বিশেষ অংশ রেকর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাউসে বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে কার্যত ব্যর্থ হন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
মঙ্গলবার বিকেলে জবাবি ভাষণ দিতে উঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেন, তাঁর দল পৃথিবীর বৃহত্তম নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। তিনি বলেন, ‘মিথ্যা ছড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও বিরোধীরা পরাজিত হয়েছেন। তাঁদের ব্যথা আমি বুঝি। দেশবাসী আমাদের তৃতীয়বার পছন্দ করেছেন, এ অতি গৌরবের বিষয়।’
এরপর এনডিএ সরকারের কেন্দ্রীয় নীতি ও শাসনব্যবস্থার কয়েকটি দিক তুলে ধরতে সচেষ্ট হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেন, তাঁদের জমানায় প্রতিটি কেন্দ্রীয় নীতির লক্ষ্য ভারতকে বিশ্বের দরবারে সর্বাগ্রগণ্য করে তোলা। এই প্রসঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।
জবাবি ভাষণের ঠিক এই জায়গায় পৌঁছে থেমে যেতে হয় নরেন্দ্র মোদিকে। কারণ তখন বিরোধী সাংসদরা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছেন মণিপুর নিয়ে।
কিছুক্ষণ থেমে যাওয়ার পর, পুনরায় ভাষণ দিতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন ভারতকে সম্মান করে। দেশবাসী আমাদের আশীর্বাদ করছেন এই জন্য যে, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য-সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করেছি। আমাদের প্রতিটি নীতি, প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও প্রতি পদক্ষেপের একটাই লক্ষ্য, তা হল ভারতকে বিশ্বে প্রথম স্থানাধিকারী দেশে পরিণত করা।’
প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর ভাষণে কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ সরকারের কড়া সমালোচনা করে জানান, ‘২০১৪ সালের আগে কয়লা সহ অনেক কেলেঙ্কারিতেই অনেকের হাত ময়লা হয়েছিল।’ জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে ৩৭০ ধারা বিলোপের ‘কৃতিত্ব’ও বিরোধীদের স্মরণ করিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদি।