কলকাতা : চিকিৎসা-উদাসীন আরজি কর হাসপাতাল, কোন্নগরের যুবকের মৃত্যু! দুর্ঘটনায় গুরুতর জখমকে শুক্রবার সকাল থেকে ৩ ঘণ্টা চিকিৎসা ছাড়াই ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে|
চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণেই ভর্তি নেওয়া গেল না মরণাপন্ন যুবককে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এরই মধ্যে| জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন করেও তণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স (X) হ্যান্ডলে ঝাঁঝালো বার্তা দিয়েছেন, কর্তব্যে অবহেলার জেরে মৃত্য হত্যার সমান| শনিবার মৃত যুবকের বাড়িতে হাজির তণমূল নেতারা|
এক নারকীয় হত্যালীলার প্রতিবাদ করছেন ভাবীকালের পূর্ণ চিকিৎসকরা| সেই আন্দোলনের তরিকা কি এতটা অসংবেদনশীল হতে পারে, যা ডেকে আনছে আরও মৃত্য? চিকিৎসার জন্য যাঁদের দিকে পরম ভরসায় তাকিয়ে থাকেন নিরীহ জনসাধারণ, তাঁরা পরিষেবা বন্ধ রেখে কার বিরুদ্ধে, কীসের প্রতিবাদ করছেন? শুক্রবারের ঘটনায় এইসব প্রশ্ন প্রাসঙ্গিকতা পাচ্ছে রাজ্যবাসীর মনে|
মনে রাখা জরুরি, দেশের শীর্ষ আদালত আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডের মামলায় প্রথম শুনানিতেই জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতি কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন করেছিল| কাজ হয়নি তাতে| বহির্বিভাগ বন্ধ রেখে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু রাখলেই যে বিপুল সংখ্যক রোগীর চাপ সিনিয়র ডাক্তারদের দিয়ে সামলানো সম্ভব নয়, তা কি বুঝতে কোথাও অসুবিধে হচ্ছে আন্দোলনকারী প্রতিশ্রুতিমান ডাক্তারবাবুদের? পথ-দুর্ঘটনায় দুই পা থেঁতলে যাওয়া রক্তাক্ত যুবকের আশু চিকিৎসা যে ‘অভয়া ক্লিনিকে’র কাজ নয়, তাও কি বোধগম্য হচ্ছে না কর্মবিরতি-নিষ্ঠ প্রতিবাদীদের? সবশেষে একটাই প্রশ্ন, ডাক্তারির শপথবাক্য ঠিকঠাক বুঝেছেন তো অ্যাপ্রন-সম্মানিত স্টেথো-কণ্ঠি সুশোভিত স্বাস্থসেবকরা?