স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা:
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। র্যাগিং নাকি খুন, সেই প্রশ্ন ছেড়ে এবার প্রশ্ন উঠছে আসলে এই পরিস্থিতি দায় কার? আর সেই প্রশ্নেই আরও একবার সামনে চলে এলে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। বৃহস্পতিবার ভোরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পর র্যাগিং-এর অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে গোটা ক্যাম্পাস। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল পুলিস। ভর্তির ২ দিনের মাথাতেই, বুধবার রাতে হস্টেলের ৩ তলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্বপ্নদীপের। তার গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবার। স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। হস্টেলের অজ্ঞাতপরিচয় আবাসিকদের বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের মতো ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কটাক্ষ, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা প্রমাণ করে যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রকৃত শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ একই সঙ্গে এই ঘটনাকে ‘সরকারের লজ্জা’ বলেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, শুধুমাত্র রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোই বিজেপির একমাত্র উদ্দেশ্য। পাল্টা জবাব দিয়ে আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ব্রাত্য লিখেছেন, ‘যে কোনও ঘটনাতেই রাজ্য সরকারের দোষ খুঁজে পাচ্ছে বিজেপি। গাছের পাতা নড়লেও রাজ্যের দোষ। সরকারের ওপর দোষ চাপানোর তাড়ায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি ভুলে গিয়েছেন যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরাসরি আচার্যের অধীনে রয়েছে। এই ঘটনা আসলে রাজ্যপালের ব্যর্থতা।’পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, এটি র্যাগিংয়ের ঘটনা। ছাত্রটির মাথায় এবং শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। গতকাল এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্তের পর রাতে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেয় পুলিশ।