নিজস্ব সংবাদদাতা : শুক্রবারই তাঁর কর্মজীবনের শেষদিন ছিল| মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদ আরও ছমাস বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার| দ্বিবেদীর মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসনে কোনও রদবদল প্রয়োজন হচ্ছে না| সেদিক দিয়ে আশ্বস্ত রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও| বৃহস্পতিবার অবধি মেয়াদবৃদ্ধি সংক্রান্ত চিঠি না-আসায় প্রশাসনিক মহল খানিকটা উদ্বেগে ছিল| মুখ্যসচিব পদে তাঁর মেয়াদবৃদ্ধি হবে কি না, তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন দ্বিবেদীও| দ্বিবেদীর মেয়াদ না বাড়লে স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকার নামই পরবর্তী মুখ্যসচিব হিসেবে সবচেয়ে আগে বিবেচিত হচ্ছিল| তাঁর সঙ্গে দৌড়ে আরও দুএকজনের নাম শোনা যাচ্ছিল, তবে এখন আর তাঁদের নিয়ে কোনও জল্পনা বা আলোচনার অবকাশ নেই|
প্রসঙ্গত, দ্বিবেদীর মেয়াদ যাতে না-বাড়ে, তার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর| তিনি যে দ্বিবেদীর পক্ষে নন, তা একাধিক বার প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন শুভেন্দু| একাধিক বার তিনি অভিযোগও এনেছেন এইচ কে দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে| যদিও শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বিষয়টি নিয়ে বলা হয়েছে, রাজ্যের কোনও আমলাকে নিয়ে বিরোধী দলনেতার অত মাথাব্যথা নেই| কিন্তু আমলাদের মেয়াদবৃদ্ধির বিষয়টি কেন্দ্রের পার্সোনেল মন্ত্রকের অধীন| সেটি আবার অমিত শাহর অধীন দফতর নয়| ওই দফতর সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীন| ফলে মুখ্যসচিব দ্বিবেদীর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আছে বলেই মনে করা হচ্ছে|
মুখ্যসচিব পদে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদবৃদ্ধি প্রশাসনিক স্তরে যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়েও এই সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক গুরুত্ব বেশি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল| যেহেতু শুভেন্দু বারবার দ্বিবেদীকে আক্রমণের নিশানা করছিলেন এবং তিনি কেন্দ্রের শাসক দলের সদস্য, তাই তাঁর সেই আক্রমণ বাড়তি রাজনৈতিক গুরুত্ব পেয়ে গিয়েছিল| সেই কারণেই এই মেয়াদবৃদ্ধিতে কিছটা উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির|